বেড়ানো বা ভ্রমণ এই নিয়ে গল্প বা আলোচনা হলেই মন টা উরু উরু না করে পারেনা এমন বাঙালী বোধহয় কম ই আছে । সপরিবারে বেড়ানোর মজাই আলাদা । বিশেষ করে এই শীতকালে ঘরে বসে থাকতে কার ই বা ভালো লাগে । এই মরশুম টা তো বিশেষ করে ঘুরে বেড়ানোর । ইচ্ছা করে কোনো অজানা ছোট্ট নদীর কিম্বা ধানক্ষেতের পাশে কোনো নিরালা গ্রামের পরিবেশে একবেলা চড়ুইভাতি করে আসি । আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে । সহজ পাঠের সেই চিরায়ত ছবি কি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে ? কে জানে । সত্যি কথা বলতে কি
কলকাতা বা তার আশেপাশে তেমন গ্রাম বা পরিবেশ যা কিনা চড়ুইভাতির পক্ষে আদর্শ তা কোথাওই খুঁজে পাইনা । ইট কাঠ পাথরের নগরোন্নয়নের যাঁতাকলে সেই ছেলেবেলার পটে আঁকা ছবি যেন হারিয়ে গেছে কোন সুদূরে । সেই বাল্যকালে মনে পরে শীতকাল বলতে নলেন গুড়ের সন্দেশ, জয়নগরের মোয়া , কাছেপিঠে কোনো গ্রামের সর্ষে ক্ষেতের ধারে বনভোজন আর দুপুরে রোদে পিঠ দিয়ে বসে টান টান কোনো এডভেঞ্চার এর বই বা রেডিয়োতে অনুরোধের আসর । তা সেই ছবি বাস্তবে সরাসরি ফিরে না পাই মানস চক্ষে দেখতে ক্ষতি তো নেই । নেই নেই করে আমাদের সপরিবারে বেড়ানো তো কম হলোনা । আমাদের বাবা মা ও যথেষ্ট ভ্রমণপিপাসু । তাই সেই সকল ভ্রমণ উপাখ্যান ও তার সংকলন নিয়ে এই ব্লগসাইটের উপস্থাপনা । সপরিবারে বেড়ানো তাও আবার ছোট বাচ্চা সাথে নিয়ে , সেটা কিন্তু বেশ পরিকল্পনা সাপেক্ষ । আর আমি বিশেষ করে যেকোনো জায়গায় বেড়ানোর সূচীর মধ্যে একটু স্বল্পপরিচিত , চিরাচরিত ভ্রমণার্থীর ভিড়ে ঠাসা নয় এমন জায়গা গুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করি । একজায়গায় গেলে একটু রয়েসয়ে ঘুরতে চাই , তাড়াহুড়ো করে , বুড়িছোঁয়া করে নয় । তার মানে এই নয় যে ট্যুর কোম্পানির গ্রুপ ট্যুর এ বুড়িছোঁয়া ট্যুরে আমরা কোথাও যাইনি , তবে তার সংখ্যা বেশ কম । ভ্রমণপ্রিয় পাঠকগণ যারা এই ধরণের বেড়ানোতে আগ্রহী বিশেষ করে তাদের এই ব্লগসাইট টি ভালো লাগবে । যাকগে আর বেশী ভূমিকা না করে মূল উপস্থাপনায় আসা যাক । শীতের এই প্রেক্ষাপটে করোনার আবহে যেহেতু কোথাও যেতে পারছিনা তাই কল্পনায় ভ্রমণের নৌকা পাড়ি দিলাম । তিন বছর আগে এরকমই এক শীতের দিনে দুই রাত্তিরের জন্যে স্ত্রী আর ছোট্ট কন্যা সহ গিয়েছিলাম বর্ধমানের সিঙ্গিগ্রাম । সে যেন সেই সহজ পাঠের থেকে উঠে আসা গ্রাম । এই সংখ্যায় সেই সিঙ্গিগ্রামের উপরে লেখা থাকবে আর থাকবে রাশিয়ার উপর , যেখানে গেছিলেন আমার বাবা মা । সাথে থাকবে প্রচুর ছবি । পাঠকগণের সুচিন্তিত মতামত একান্তভাবে প্রার্থনীয় । ভালো লাগলে সাইটটি শেয়ার করবেন ।
ধন্যবাদ
তীর্থ দাশগুপ্ত
এত প্রাণবন্ত লেখনী যে মনে হচ্ছিল যেন ছবিটা চোখের সামনে আঁকা হয়ে যাচ্ছে। খুব ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় । ভাল লাগলে সাবস্ক্রাইব করো ।