Tag: travel blog

  গিউ গ্রামের রহস্যময় মমি

প্রত্যন্ত স্পিতি উপত্যকার কেন্দ্রে হিমাচল প্রদেশের হিমালয় অঞ্চলের উঁচুতে গিউ গ্রামটি অবস্থিত। যদিও এই গ্রামটি তার অনিন্দ্য সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং অনন্য সংস্কৃতি নিয়ে গর্বিত, কিন্তু যা এই গ্রামটিকে সত্যই অন্যদের থেকে আলাদা করেছে তা হল এর রহস্যময় গিউ মমি। এটি একটি সুসংরক্ষিত, শতাব্দী-প্রাচীন মানবদেহ যা ভ্রমণকারীদের এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের একইভাবে মুগ্ধ করেছে৷ লাহুল ও স্পিতিতে অবস্থিত রুক্ষ পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত  গিউ গ্রামটি এই অঞ্চলের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের অন্তরালে তার যে সবচেয়ে বড় আকর্ষণকে রহস্যের আবরণে ঢেকে রেখেছে তা হ’ল এই মমি। তাই লাহুল ও স্পিতিকে বিদায় জানানোর আগে এই অসাধারণ বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সংঘা তেনজিনের মমি একবার সচক্ষে দেখবনা তা হয়না।

এই সেই স্পিতি উপত্যকা, যেখানে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, এই চিত্তাকর্ষক পর্বতমালার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে, আধুনিকতার দ্বারা কলুষিত না হয়ে তাদের প্রাচীন সভ্যতার ধন এবং রহস্য যুগযুগ ধরে সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতের প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত “স্পিতি ভ্যালির গিউ মঠের রহস্যময় মমি” তাই সারা বিশ্বের পর্যটক, শিল্পী, অভিযাত্রী এবং গবেষকদের সমান ভাবে আকর্ষণ করে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মমিকরণ প্রক্রিয়া সত্যই বিরল।  গিউ মমি ১৯৭৫ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল যখন এই অঞ্চলে একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং পুরানো গিউ মঠটি ভেঙে পড়ে। মঠটি ভেঙে পড়ার সাথে সাথে মন্দিরের নীচে একটি ছোট ভূগর্ভস্থ কক্ষে অবস্থিত এই গিউ মমিটি আত্মপ্রকাশ করে । এই মমিটি ৫০০ বছরেরও আগে এখানে বসবাসকারী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সংঘা তেনজিনের দেহাবশেষ বলে মনে করা হয়। গিউ মমিকে যা বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তোলে তা হ’ল এর সংরক্ষণের অবস্থা। দেহটি উল্লেখযোগ্যভাবে অক্ষত, ত্বক, চুল এবং নখ এখনও দৃশ্যমান। মমির সংরক্ষণ পদ্ধতিগুলি একটি রহস্য হিসাবে রয়ে গেছে কারণ স্পিতি উপত্যকায় ঐতিহ্যবাহী মমিকরণ অনুশীলনের কোনও রেকর্ড নেই। কিছু বিশেষজ্ঞের মত অনুযায়ী এই অঞ্চলের প্রাকৃতিকভাবে শুষ্ক এবং ঠান্ডা জলবায়ু এবং ভূগর্ভস্থ কক্ষে তামা এবং পারদের উপস্থিতি মমির সংরক্ষণে সহায়ক হয়েছে।

মিশরের নীল নদের পশ্চিম তীরে ভ্যালি অফ কিংস এবং কায়রো মিউজিয়ামে আমরা বেশ কয়েকটি মমি দেখেছিলাম, যেগুলোকে রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছিল যাকে বলা হয় মৃতদেহে ক্ষয়-নিবারক দ্রব্য দেওয়া হয়েছিল এবং তারপর কাপড়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণ মমিকরণ প্রক্রিয়াটি প্রায় ৭০ দিন সময় নেয় এবং বেশ কয়েকটি পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার সবগুলিরই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় তাত্পর্য ছিল পাশাপাশি মৃতদেহ পরিচালনার জন্য ব্যবহারিক প্রভাব ছিল।   প্রক্রিয়াটির প্রধান উপাদানগুলি ছিল – পরিষ্কার করা অর্থাৎ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত পুরোহিত দ্বারা হৃৎপিণ্ড ব্যতীত অন্য অঙ্গগুলির অপসারণ, ডিহাইড্রেশন যার মাধ্যমে ন্যাট্রন লবণ ব্যবহার করে শরীর শুকানো হয়, অভিষেক অর্থাৎ দেহটি কাপড় ও রজনের স্তরগুলি দ্বারা আবদ্ধ করা হয় এবং মোড়ক যা একটি বিশেষ কৌশল যার দ্বারা মমিটি মোড়ানো হয়। প্রাচীন মিশরীয় মমিগুলি যা বেশিরভাগই আমরা যাদুঘরে দেখে থাকি, সেগুলি বিশেষ ক্ষয়-নিবারক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে এই ব্যয়বহুল সমাধির ব্যবস্থা মূলত রাজপরিবারের সদস্য এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্যই সংরক্ষিত ছিল।  জনসংখ্যার খুব বড় সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে কেবল কবর দেওয়া হত। কাপড় বা মাদুরের কয়েকটি স্তরে ঢেকে বালির মধ্যে অগভীর কবরে স্থাপন করা হত। শরীরের তরল পদার্থগুলো গরম, শুকনো বালি দ্বারা বাষ্পীভূত হয়ে পচনকে প্রতিহত করত, যা ক্ষয়-নিবারক রাসায়নিকদের মতোই একই প্রভাব ফেলতো। এই প্রক্রিয়াটিকে ‘প্রাকৃতিক’ মমিকরণ বলা হয়।

তবে স্পিতি ভ্যালির মমি মিশরীয় মমি থেকে অনেকটাই আলাদা৷ চীনের সাথে ভারতের সীমান্তের কাছে, স্পিতি উপত্যকার গিউ গ্রামের মঠটি একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত মমির জন্য বিখ্যাত। পঞ্চদশ শতাব্দীর পুরনো, এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী, সংঘা তেনজিনের মমি করা দেহটি বসে ধ্যানের ভঙ্গিতে রয়েছে এবং স্পিতি উপত্যকার ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়া এর প্রাকৃতিক সংরক্ষণে অনেকটাই সহায়ক হয়েছে। গিউ গ্রামের মমিটি প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো, যা বর্তমানে মঠের পাশে একটি ছোট ঘরের ভিতরে একটি কাচের বাক্সে রাখা হয়েছে। আমরা স্পিতি উপত্যকায় গিউ মমির দাঁত, চুল এবং হাড়ের সংরক্ষিত ত্বক দেখেছি। গবেষকরা এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে মাত্র ২৪টি এই ধরণের মমির সন্ধান পেয়েছেন। সীমান্ত সুরক্ষার কারণে এবং গিউ গ্রামের দুর্গমতার কারণে, এই মমির অস্তিত্ব বছরের পর বছর গোপন ছিল। স্পিতির নির্জন প্রান্তর অঞ্চলটি কয়েক দশক ধরে পর্যটনের নাগালের বাইরে ছিল এবং এমনকি স্থানীয়রাও ভারতের এই গোপন মমি সম্পর্কে অবগত ছিল না। গিউ গ্রামের এই মমিটি ১৯৭৫ সালের ভূমিকম্পের পরে একটি স্তূপ থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল, যখন ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত বাহিনী এই অঞ্চলটি পরিষ্কার করে রাস্তা ও বাঙ্কার তৈরি করছিল। ২০০২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ভারতে এই সিক্রেট মমি নিয়ে গবেষণার জন্য এখানে এসেছিলেন। কার্বন ডেটিংয়ের সাহায্যে তারা দেখতে পান যে “গিউ ভিলেজ মমি” সাংঘা তেনজিন ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দ থেকে একই বসার ভঙ্গিতে রয়েছে এবং তারা উল্লেখ করেছেন যে এটি প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত এবং দেহ সংরক্ষণের জন্য কিছুই ব্যবহার করা হয় নি। এটা সম্ভব যখন কোনও মৃতদেহ চরম ঠান্ডা, শুষ্ক পরিস্থিতি বা অন্য কোনও পরিবেশগত কারণে পচন ও ক্ষয়কে প্রতিহত করে।   প্রথা অনুসারে, একাদশ শতাব্দী থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীতে বোধিলাভের প্রক্রিয়ায় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা স্বয়ং মমি করার প্রক্রিয়া অনুশীলন করছিলেন। “সোকুশিনবুতসু” শব্দটি স্ব-মমিকরণের জন্য, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের অনুশীলনকে বোঝায়।  এই প্রথা অনুযায়ী জীবিত থাকাকালীন অনাহার এবং ধ্যানের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। প্রাচীন প্রথা অনুসারে, সন্ন্যাসীরা গুহার অভ্যন্তরে বসে ধ্যানের সাথে সাথে একটি বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করতেন। শরীরে মেদ কমানোর জন্য তারা চর্বিসহ কোনো ধরনের খাবার গ্রহণ করতেন না। সেলফ মমিকরণ প্রক্রিয়াটি গ্রহণ করা হয় তাদের জীবনের শেষের দিকে , যা কয়েক মাস থেকে এক দশক পর্যন্ত  সময় নিতে পারে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন ধ্যান এবং ক্রমাগত উপবাসের মাধ্যমে সন্ন্যাসীরা তাদের দেহকে এমন অবস্থায় নিয়ে আসে যেখানে তাদের মৃত্যুর পরে, কোনও ব্যাকটেরিয়া তাদের দেহে বেঁচে থাকবে না এবং উপত্যকার শু এবং ঠান্ডা আবহাওয়া তাদের প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষণ এবং মমি করতে সহায়তা করবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় সফল হয় হাতে গোনা কয়েকজন।

বোস্টনের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ডাঃ হার্বার্ট বেনসন মমির প্রাকৃতিক সংরক্ষণের পিছনে রহস্য  অনুসন্ধান করে দেখেন যে কীভাবে ধ্যান সন্ন্যাসীর দেহকে প্রভাবিত করে। তিনি দেখেছেন যে এমনকি সাধারণ ধ্যানও সন্ন্যাসীর অক্সিজেনের ব্যবহার ৬০% কমিয়ে দিতে পারে। টুমো যোগব্যায়াম অনুশীলনকারী সন্ন্যাসীরা তাদের ত্বকের তাপমাত্রা এতটা কমিয়ে দিতে পারে যে তারা হিমশীতল ঠান্ডায় তাদের চারপাশে জড়ানো ভেজা চাদর শুকিয়ে নিতে পারে।  প্রাচীনকালে, গিউ গ্রামটি তিব্বত থেকে লাদাখ এবং স্পিতি হয়ে জাঁস্কারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথে অবস্থিত ছিল। ফলস্বরূপ, গ্রামটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে লোকমুখে চলে আসা লোককাহিনীগুলিকে সমৃদ্ধ করেছিল। স্থানীয়রা গর্ব ও নিষ্ঠার সাথে এই কথা বলে ও লোককাহিনী অনুসারে, তারা বিশ্বাস করে যে গিউয়ের মমি এখনো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তাদের গ্রামের করে আসছে। তাই মমিকে স্থানান্তরিত করলে গ্রামে দুর্ভাগ্য, বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসবে। লোককাহিনী অনুসারে সন্ন্যাসী অর্থাৎ বর্তমানে গিউয়ের মমি গ্রামটিকে বিছের বিপদ থেকে মুক্ত করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন যে বিছের কামড়ে গ্রামের অনেক লোকের মৃত্যুর পরে, সন্ন্যাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার জন্য ধ্যানে বসেন এবং তাঁর মৃত্যুর পর শিষ্যদের তাঁকে সমাধিস্থ করতে বলেন। তাঁরা উল্লেখ করেছেন যে সন্ন্যাসীদের আত্মা স্বর্গের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সাথে সাথে নীল আকাশ জুড়ে একটি রামধনু দেখা দিয়েছিল এবং পরবর্তী কালে বিছের  উপদ্রবের অবসান হয়েছিল।

স্বভাবতই গিউ গ্রামের অধিবাসী মমিটিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখে এবং তাদের রক্ষকের মতো এটি উপাসনা করে। তারা প্রতিদিন গিউ মঠের মমির কাছে প্রার্থনা করে সেখানে ধূপ এবং মাখনের প্রদীপ জ্বালায়। এই মমি এখানে না থাকলে এই গ্রামটি বিশ্বের কাছে অজানাই থেকে যেত। স্পিতি উপত্যকায় মমির আবিষ্কারের ফলে আরও বেশি ভ্রমণকারীরা এখানে আসেন। প্রতি বছর স্পিতি উপত্যকায় পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্থানীয়দের জন্য হোম স্টে এবং ছোট ছোট ক্যাফে প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন ব্যবসার সুযোগ আসছে। গিউ মমি কেবল একটি প্রত্নতাত্ত্বিক বিস্ময় নয়; এটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য গভীর সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ধারণ করে। এখানকার গ্রামবাসীরা মমিটিকে অভিভাবক আত্মা হিসাবে শ্রদ্ধা করে এবং বিশ্বাস করা হয় যে এটি গ্রামে আশীর্বাদ ও সুরক্ষা প্রদান করে। রহস্য আর ইতিহাসে মোড়া স্পিতি ভ্যালির এই মমি কালজয়ী আকর্ষণের সাক্ষ্য হয়ে আছে। এটি অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে একটি সেতু হিসাবে দাঁড়িয়ে ভ্রমণকারীদের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতার সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানায়, আর পর্যটকেরাও এই প্রাচীন আশ্চর্যের সাক্ষী হতে পেরে সমৃদ্ধ হয়।

মে ২০২২ সংখ্যার ভূমিকা –

নমস্কার । দীর্ঘ তিনমাসের ব্যবধানে আবার এসেছি আমরা নতুন ভ্রমণকাহিনী নিয়ে । নানা কারণে গত কয়েকমাসেলেখা হয়নি সেভাবে । এমাস থেকে আবার প্রকাশ করব ভ্রমণকাহিনী নিয়মিত ভাবে । এই মাসে থাকবে তিব্বতের লাসার উপরে দেবাশিস দাশগুপ্তের লেখা ভ্রমণ কথা আর কানাডার রকি মাউন্টেন অঞ্চলের উপরে ধারাবাহিক চলতে থাকা ভ্রমণকাহিনীর শেষ পর্ব । লেখাটি পড়ে কেমন লাগল ইমেলে জানাতে ভুলবেন না জানি । ভালো থাকবেন ।
তীর্থ দাশগুপ্ত
travellertirtho@gmail.com

পৃথিবীর ছাদ থেকে দেখা

স্থান – লাসা

সময়- মে-জুন , ২০১৫  যাত্রীগণ – ভয়েজার্স  ক্লাবের সহযাত্রীগণ

লেখা ও ফটো – দেবাশিস দাশগুপ্ত

সাংহাই হচ্ছে সমুদ্র  পৃষ্ঠে আর লাসা  হচ্ছে পৃথিবীর ছাদ –  আমাদের পরিকল্পনা ছিল সাংহাই থেকে লাসা এই দীর্ঘ ৪৩০০ কিলোমিটার যাত্রা পথ আমরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ রেলপথ যা কিনা কিংহাই-তিব্বত রেলপথ  নামে পরিচিত তাতে পাড়ি দেব। এই দীর্ঘ সময়ে অর্থাৎ প্রায় ৪৮ ঘণ্টায় আমরা ধীরে ধীরে এই অধিক উচ্চতা জনিত সমস্যার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারব, যার ফলে আমরা লাসা পৌঁছে শারীরিক ভাবে সুস্থই থাকব। আরও একটা ব্যাপার ছিল – যাওয়ার সময় ট্রেনে গেলে কিছু কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন কুনলুন পর্বত শ্রেণী,  গোবি মরুভুমি এসব দিনের আলোতে দেখতে পারতাম। কিন্তু বিধি বাম- ট্রেনে যাবার টিকিট না পাওয়ায় আমরা প্লেনে গিয়ে ট্রেনে ফিরব ঠিক হলো।

Continue reading

জানুয়ারী ২০২২ সংখ্যার ভূমিকা

দেখতে দেখতে আমাদের ভ্রমণ ব্লগ exoticbongfamilytraveller.com এক বছর পার করে এলো । গতবছর জানুয়ারী মাসে উইকেন্ড স্পট  সিঙ্গিগ্রাম এবং বিদেশ ভ্রমণের গল্প হিসেবে রাশিয়ার উপরে  লেখা নিয়ে আমাদের উদ্বোধন সংখ্যা প্রকাশিত হয় । তারপর থেকে প্রতিমাসেই দুটো তিনটি নতুন নতুন ভ্রমণ গল্প নিয়ে এই ব্লগ এগোতে থাকে । প্রতিটি লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর আপনাদের সুচিন্তিত মতামত পেয়ে আমরা ধন্য । পাঠকের ভাল লাগাই যেকোনো লেখকের পরম প্রাপ্তি ।খুব আশা করব , যদি এই ভ্রমণকাহিনী গুলি আপনাদের বন্ধু বান্ধব , আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে ছড়িয়ে দেন ।

  এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে গত মাসেই বলেছিলাম আমাদের এই ব্লগে আপনাদের নিজেদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা গল্পের আকারে আমাদের লিখে পাঠান , সাথে ভাল কিছু ছবি । ভালো লেখা ছবি সহ প্রকাশ করতে পারলে আমাদের খুব ভালো লাগবে । খুব ই আনন্দের সাথে জানাই ব্লগের এক বছর পূর্তিতে এই মাসের সংখ্যায়ে আমার জামাইবাবু ( পিসতুতো) শ্রী অরূপ দাশগুপ্তের লেখা ভ্রমণকাহিনী “ রাবন রাজার দেশে” প্রকাশিত হল ।এছাড়া এই মাসেই প্রকাশিত হবে সদ্য সমাপ্ত সিমলিপাল ভ্রমণের উপরে লেখা কাহিনী , যার পূর্বকথা গত মাসেই প্রকাশিত হয়েছে । ইতিমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরেছে সমস্ত দেশে । তাই বাড়ী বসে এই ব্লগ পড়ে মনে মনে দেশ বিদেশ ঘুরে আসুন । আতঙ্কিত হবেন না, সতর্ক থাকুন । করোনা বিধি মেনে চলুন আর নির্দিষ্ট সময়ে টীকা নিন । ও হ্যাঁ অবশ্যই আপনাদের বেড়াবার গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আমাদের ইমেল আইডি – travellertirtho@gmail.com

সুস্থ থাকুন , ভালো থাকুন

ধন্যবাদ

তীর্থ দাশগুপ্ত

travellertirtho@gmail.com

Read More Blogs ->

মার্কিন মুলুকের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) উল্লেখযোগ্য পর্যটনস্থল

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যটকদের দের জন্যে খুলে দিয়েছে তাদের দেশ দীর্ঘ কোভিড জনিত বিরতির পর । টুরিস্ট ভিসার আবেদন করা যাচ্ছে স্থানীয় মার্কিন কনস্যুলেট থেকে । ডাবল ভ্যাক্সিনেশান সার্টিফিকেট থাকাটা বাধ্যতামূলক । আগামী ভ্রমণের গন্তব্য হিসেবে মার্কিন দেশ কে বেছে নিতে পারেন । আসুন দেখে নি এতবড় একটা দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বড় শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ভিত্তিতে কোন কোন যায়গা অবশ্য গন্তব্য । ভ্রমন সংক্রান্ত বিখ্যাত লোনলি প্ল্যানেট ম্যগাজিন নিম্নলিখিত পর্যটনস্থলগুলি  অবশ্য গন্তব্য  তালিকায় রেখেছে ।

Continue reading