ক্যাটাগরি ভ্রমণ কাহিনী (Page 1 of 3)

পৃথিবীর ছাদ থেকে দেখা

স্থান – লাসা

সময়- মে-জুন , ২০১৫  যাত্রীগণ – ভয়েজার্স  ক্লাবের সহযাত্রীগণ

লেখা ও ফটো – দেবাশিস দাশগুপ্ত

সাংহাই হচ্ছে সমুদ্র  পৃষ্ঠে আর লাসা  হচ্ছে পৃথিবীর ছাদ –  আমাদের পরিকল্পনা ছিল সাংহাই থেকে লাসা এই দীর্ঘ ৪৩০০ কিলোমিটার যাত্রা পথ আমরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ রেলপথ যা কিনা কিংহাই-তিব্বত রেলপথ  নামে পরিচিত তাতে পাড়ি দেব। এই দীর্ঘ সময়ে অর্থাৎ প্রায় ৪৮ ঘণ্টায় আমরা ধীরে ধীরে এই অধিক উচ্চতা জনিত সমস্যার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারব, যার ফলে আমরা লাসা পৌঁছে শারীরিক ভাবে সুস্থই থাকব। আরও একটা ব্যাপার ছিল – যাওয়ার সময় ট্রেনে গেলে কিছু কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য যেমন কুনলুন পর্বত শ্রেণী,  গোবি মরুভুমি এসব দিনের আলোতে দেখতে পারতাম। কিন্তু বিধি বাম- ট্রেনে যাবার টিকিট না পাওয়ায় আমরা প্লেনে গিয়ে ট্রেনে ফিরব ঠিক হলো।

Continue reading

মোহময়ী সিমলিপাল                        

লেখা ও ছবি – তীর্থ দাশগুপ্ত                

This travelogue in Bengali is based on tour to Simlipal tiger reserve , in Mayurbhanj district of Odisha. I tried to capture the majestic beauty of the forest along with few essential information in this travelogue.

   ” আচ্ছা , একদম গহীন জঙ্গলের ভিতরে বেশ ছোটখাটো একটা নির্জন বনবাংলোয়ে কদিন কাটালে কেমন হয় ? লোকালয় থেকে দূরে । নিরিবিলি পরিবেশে , পাখীর ডাক শুনতে শুনতে ঘুমোবে বা রাতে বাংলোর বারান্দায় বসে জ্যোৎস্নায়ে ভেসে যাওয়া জঙ্গলের শোভা দেখবে । আরো দারুন হয় বিছানায় শুয়ে শুয়েই পাশেই গড়িয়ে পরা জলপ্রপাতের দৃশ্য যদি দেখা যায় । দুপুরে বাংলোর বারান্দায় বসে নরম রোদের ওম পোহাবে । “
পুজোটা কাটলেই স্ত্রী ঋতুকে একদিন এরকম ভ্রমণ পরিকল্পনার কথা বলি ।

Continue reading

রাবণ রাজার দেশে (শ্রীলঙ্কা)

© লেখা ও ছবি – অরূপ দাশগুপ্ত

অরিত্ররা তিন ভাই। অরিত্র ছোট। দাদারা দুজনে পড়াশোনায় তুখোড় হলেও অরিত্র বরাবর একটু অমনোযোগী আর ফাঁকিবাজধরনের।স্কুলে কোনোদিনই খুব একটা ভালো রেজাল্ট করতে পারতো না অরিত্র। সব আশা ত্যাগ করে অরিত্রর আর কিছু হবে না ধরে নিয়ে অরিত্রর বাবা ওকে হায়ারসেকেন্ডারীর পর কম্পিউটার নিয়ে পড়তে বললেন। আশা, যদি পাশ করে অন্তত কোথাও একটা চাকরী পায়।

অরিত্রর কেরিয়ার কিন্তু মোটেই খারাপ হয়নি। সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় বি এস সির পর এম সি এ করে শেষে এম টেক কমপ্লিট করে অরিত্র। প্রথমে বছরখানেক দুএকটা কলেজে পার্টটাইম পড়াবার পর স্লেট কোয়ালিফাই করে এখন উত্তর কলকাতায় একটা কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। মাস তিনেক হলো অরিত্র বিয়েও করেছে।

অরিত্রর বউটি, টোড়ি, ভারী শান্ত! নিজেও স্লেট কোয়ালিফাই করে একটা কলেজে ইতিহাসের ফুলটাইম টিচার। তাসত্বেও সবসময় কেমন একটা সুগৃহিনী হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা টোড়ির।

কলেজে ছুটি না পাওয়ায় এখনও অরিত্ররা কোথাও বেড়াতেও যেতে পারেনি। 

Continue reading

বালির বালুকা বেলায়

সময়  মে ২০১৮   যাত্রীগণ – দেবাশিস দাশগুপ্ত ও মনিদীপা দাশগুপ্ত

লেখা ও ফটো – দেবাশিস দাশগুপ্ত    

         স্থান – কিন্তামনি, উবুদ, কুটা,  উলুওয়াতু, দেনপাসার, তানা লট

 This is a travelogue in Bengali about Bali, Indonesia. Bali is unique, Bali is unmatched, a magical blend of culture, nature, activities, weather, culinary delights and above all the beautiful people of this island. Bali is rated as one of the best travel destinations in the world by countless websites, review portals, and travel magazines – for very good reasons. Whatever is your age, background, budget or interest, there is something great for everyone to explore and discover in Bali

ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে বালির মানচিত্র
ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে বালির মানচিত্র

গরুড় এয়ারলাইন্সের  ছোট ফ্লাইটে  যোগজাকার্তা থেকে বালির ডেনপাসারে এসে পৌঁছলাম।আকাশ পথে বালির প্রবেশদ্বার নগুরাহ রাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। মালপত্র নিয়ে বহির্দ্বার দিয়ে  বেরোতেই দেখলাম আমাদের গাইড ফ্রেডি প্ল্যাকার্ড   নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

Continue reading

সিমলিপাল ভ্রমণের পূর্ব কথা

লেখা- তীর্থ দাশগুপ্ত

জঙ্গল আমার অতি প্রিয় গন্তব্য । অরণ্য প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ স্পর্শ আমাকে ছোটবেলা থেকেই টানে । অনেকের ই টানে , আমার মতন যারা জঙ্গলবিলাসী ও জঙ্গলপ্রেমী । সুযোগ পেলেই তাই ইচ্ছা হয় দুদন্ড প্রকৃতির কোলে কাটিয়ে আসি । নগরজীবনের যাঁতাকলে , নানাবিধ স্ট্রেসের থেকে মুক্তির একটা অন্যতম পথ নিষ্কলুষ প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়া । এই অরণ্য প্রীতি অনেকটাই এসেছে বিখ্যাত সাহিত্যিক শ্রী বুদ্ধদেব গুহর অগণিত লেখা পড়ে । আমি যে ওনার একনিষ্ঠ ভক্ত এবং আমার মতন অগণিত পাঠক পাঠিকা ,তা এর আগে কয়েকটি লেখায় আমি আগেই বলেছি । শেষ জীবনে ওনার সাথে ফোনালাপ হয় । সেই নিয়মিত আলাপচারিতা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে দ্বিতীয়বার ভর্তির কয়েকদিন আগে পর্যন্ত চলেছিল ।

মনে আছে একদম প্রথম ফোনেই দাদা বলেছিলেন সিমলিপাল যাবার কথা । দেশ বিদেশের সব অরণ্যের মধ্যে সিমলিপালের মোহিনী রূপের আকর্ষণ সব চেয়ে বেশী ছিল ওনার কাছে এটাও বলেছিলেন । ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যাবার সাহস হয়না বলাতে বলেছিলেন ” বেপাড়ার সুন্দরী মেয়ে কে চুমু খেয়ে এলে সেপাড়ার জোয়ানেরা কি ঠ্যাঙাবে নাকি মালা দেবে ? “
সিমলিপাল হল ভয়ঙ্কর সুন্দরী । এর পর ওনার ই লেখা “অন্য চোখে ” বইতে ” ভয়ঙ্কর সুন্দরী “লেখা পড়ে আরো ধারণা হয় । আস্তে আস্তে খোঁজ নিয়ে দেখি যে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ওখানে এখন অনেকটাই কমেছে । তাই সাহসে ভর করে এই বছরের বর্ষশেষে আমার ও আমার বাল্য বন্ধুর পরিবার চারদিনের সিমলিপাল অরণ্য ভ্রমণের পরিকল্পনা করলাম ।

এই লেখাটি সেই ভ্রমণের পূর্ব কথা ।


জঙ্গল ভ্রমণ ঠিক আর পাঁচটা টুরের মতন নয় ।
1) ফরেস্ট বাংলো তে থাকতে হয় যেখানে সবরকম স্বাচ্ছন্দ্য নেই হোটেলের মতন। বিদ্যুৎ নেই । তাই সন্ধ্যের পর অন্ধকারে বিশেষ কিছু করার থাকেনা . তবে ফরেস্ট বাংলোর ব্যালকনি তে বসে রাতের জঙ্গলের শোভা অনুভব করতে বেশ লাগে । চুপ করে বসে থাকলে কতরকম আওয়াজ শোনা যায় । নানান গন্ধ নাকে আসে । সব মিলিয়ে এই আদিম পরিবেশ যাদের ভালো লাগে, অরণ্য ভ্রমণ তাদের টানবেই এটা বলতে পারি ।
2) সাজগোজের বাহুল্য অরণ্য ভ্রমণে চলেনা । লাল বা উত্তেজক কোনো রঙের পোশাক পরা চলেনা । কারণ জীবজন্তুরা উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে ।সবুজ , মেটে রং বা কোনো হালকা রঙের পোশাক চলে যাতে প্রকৃতির সাথে বেশ মানিয়ে যায় ।
3) বেশী উত্তেজক সেন্ট বা পারফিউম মাখা যায়না । এমন ও শুনেছি খুব কড়া পারফিউম গায়ে মাখাতে মৌমাছিরা ঘিরে ধরে এবং তাদের বিষদংশনে আহত হন কেউ কেউ ।
4) সেলফির পেছনে না ছুটে যতটা সম্ভব প্রকৃতির অনবদ্য শোভা ক্যামেরাবন্দি করতে হয় , বেশিটাই মনের ক্যামেরায় ।
5) পঞ্চয়ন্দ্রিয় কে খুব তীক্ষ্ণ করে চোখ , কান , , নাক সবের অনুভূতি নিয়ে সম্পুর্ন ভালো লাগায় কটাদিন কাটিয়ে আসতে হয় ।
6) নিজেদের মধ্যে বেশী কথা বলতে হয়না । তাতে প্রকৃতি র কথা শোনা যায়না । মানুষের কথাতেই সব চাপা পরে যায় । শহর জীবনে তো শুধুই শব্দ , বেশিটাই অনাবশ্যক । অরণ্য ভ্রমণে যাওয়া তো আসলে নিশব্দতার বাঙময়তা অনুভব করতে ।

তা যারা আমার বক্তব্যের সাথে একমত তাঁরাই পারবেন সম্পুর্ন প্রকৃতিকে অনুধাবন করতে ।
আমাদের কর্তব্য পরবর্তী প্রজন্ম কে মাঝে মাঝেই এই প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত হতে শেখানো ।

সিমলিপাল একসময়ে ছিল ময়ূরভঞ্জের রাজার hunting ground । দেশ স্বাধীন হওয়ার জাতীয় উদ্যান হয় । দেখা মেলে প্রচুর হাতি , মাউস ডিয়ার , সম্বর , গাউর, স্পটেড ডিয়ার , সজারু , ময়ূর , নানাবিধ পাখী যেমন রাকেট টেইল্ড drongo ইত্যাদি । নামেই টাইগার রিজার্ভ কিন্তু বাঘ কেউ দেখতে পায়না । বিভিন্ন এক্সটিক প্ল্যান্টের সমাহার শুনেছি এই জঙ্গলে । গাইডের থেকে সব চেনার ইচ্ছা রইলো । রয়েছে শাল , আম , জাম , সাহাজ, শিশু , বেল , বিজা বা পিয়াশাল , তেঁতুল । এছাড়া নানারকম লতা , গিলিরি , পুটুস ঝোপ ইত্যাদি। গাছ শুধুই গাছ নয় । তার ও নাম আছে, সৌন্দর্য আছে । এক এক ঋতুতে তার এক এক রকম শোভা আছে ।


বিভিন্ন রকম প্রজাপতি দেখতে পাওয়া যায় । ইচ্ছা রইল সেইগুলা দেখে মুগ্ধ হওয়ার ।
আর আছে প্রচুর ঝর্ণা ও জলপ্রপাত । নামগুলিও ভারী সুন্দর , যেমন জোরান্ডা , বরেহিপানি, উস্কি ইত্যাদি । এই জলপ্রপাত ও সংলগ্ন জঙ্গলের শোভা কিছুটা পায়ে হেঁটেই ঘুরব আমরা । সিমলিপালে পর্যটকরা পায়ে হেঁটে ঘুরতে পারেন , যা এর আগে করবেট ফরেস্টে পারিনি আমরা । জোরান্ডা নামের উৎস ও খুব ইন্টারেস্টিং । কথাটা এসেছে জাউ রান্ধা থেকে । জাউ মানে জিউ । অর্থাৎ অনেক আগে জগন্নাথ দেবের ভোগ মানে অন্ন এখানেই কাছে কোনো গ্রামে নাকি রান্না হত । জোরান্ডা ফরেস্ট বাংলোয় রাতে থাকলে জলপ্রপাতের দিকে নাকি বিচিত্র সব আলো দেখা যায় জ্বলতে নিভতে । শহুরে পরিবেশে এসব অতটা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও সভ্যতা থেকে দূরে ওই পরিবেশে এই সব ক্রিয়াকলাপ মনের উপরে যথেষ্ট অভিঘাত ফেলে ।


বরেহিপানি জলপ্রপাতের দৃশ্য নাকি অতুলনীয় । বুড়িবালাম নদী এখন থেকেই নাকি উৎপন্ন হয়েছে ।
আরো সুন্দর সুন্দর জায়গার নাম শুনলাম , যেমন নুয়ানা আর চাহালা । নুয়ানা মানে ন আনা । ময়ূরভঞ্জের রাজা কে ন আনা ট্যাক্স দিতে হত সেই আমলে এখানকার অধিবাসীদের । আবার চাহালা মানে নাকি টলি গেলা । সেই আমলে একবার বিদেশী অতিথি দের নিয়ে রাজা এই চাহালার জঙ্গলে আসেন ও কিছু অতিপ্রাকৃত ঘটনার সাক্ষী হন । অতিথিদের মধ্যে কারুর প্রাণহানিও হয় । চাহালা বাংলোর সামনে একটি বড় পিয়াশাল গাছ আছে । সেটি নাকি কুরুল দিয়ে যেই কাটতে যায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় । এই সমস্ত নানা গল্প এখানে প্রচলিত আছে । লোকালয় থেকে বহু ভিতরে , আদিম বিদ্যুৎ হীন পরিবেশে , রাতের নিঝুম পরিবেশে বাংলোর হাতায় বসে এই সমস্ত গল্প স্থানীয় মানুষজন বা আমাদের গাইডের ( তিনিও স্থানীয় ) মুখে শুনতে বেশ লাগবে আশাকরি ।


স্থানীয় মানুষজন বা আদিবাসীদের বাদ দিয়ে কোনো অরণ্য প্রকৃতিই সম্পূর্ণতা পায়না । ওঁরাও , মুন্ডা ইত্যাদি আদিবাসীদের বাস জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় । এছাড়া আছে বাথুরি সমাজ । এখানকার আদি অধিবাসী । পুজো করে তারা বরামদেও বা জঙ্গলের দেবতার । যেমন সুন্দরবনে দক্ষিণরায় বা বনবিবি । এদের গ্রাম , লোকাচার , গ্জীবনযাত্রা ,ইত্যাদি চাক্ষুষ করার ইচ্ছা রইল । প্রকৃত ভারতবাসী তো এরাই । এতদিন দাদার মানে শ্রী বুদ্ধদেব গুহর লেখা পড়ে মনে মনে এই অপরূপ প্রকৃতির যে ছবি এঁকেছি তা চাক্ষুষ করার সুযোগ হবে এটা ভেবেই আমার উত্তেজনার শেষ নেই । আমার ভ্রমণ সাথীরাও যথেষ্ট excited আশা করি ।


বাকি ভ্রমণ কথা বেড়িয়ে এসেই পরিবেশন করব ।

যবদ্বীপে ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতির খোঁজে

সময়  এপ্রিল ২০১৮   যাত্রীগণ – দেবাশিস দাশগুপ্ত ও মনিদীপা দাশগুপ্ত

লেখা ও ফটো – দেবাশিস দাশগুপ্ত    

                              স্থান – বরোবুদুর ও প্রাম্বানান

                  This is a travelogue in Bengali about Bororbudur and Prambanan, the two World Heritage Sites representing the rich cultural heritage of Java (erstwhile Jabadwip), Indonesia.

Continue reading

পুজোর ছুটিতে তাজপুর

লেখা – তীর্থ দাশগুপ্ত , ছবি – ঋতু দাশগুপ্ত

After a long one and half years break due to lockdown we are ready to indulge in a brief outing. We decided we will visit a weekend spot in this year’s Puja holiday. We didn’t get booking in some remote exotic spot which we initially thought of . Later we booked a beautiful resort in Tajpur . It’s a popular weekend seaside getaway near Digha , west bengal. The resort we stayed at Tajpur is magnificient. In this travelogue our experience in Tajpur will be described briefly in Bengali.

বর্ষা শেষে নীলাকাশে পেঁজা তুলোর মতন মেঘ , আর রাস্তার দুধারে কাশবন । এই দৃশ্য চোখে ভাসলেই মন বলে পুজো এসে গেছে । আপামর বাঙালীর বার্ষিক ভ্রমণের সময়ও এটা । দীর্ঘ করোনা জনিত লোকডাউনের ক্লান্তি কাটাতে বাড়ীর সকলেরই ইচ্ছা কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসি । আর কলকাতার কাছাকাছি আজকাল অসংখ্য সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাবার জায়গা আছে । অনেক চেষ্টা করেও একটু স্বল্পপরিচিত উইকেন্ড স্পটে কোনো বুকিং পেলাম না । দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেছে । করোনার গ্রাফ ও নিম্নমুখী । এই অবস্থায় বোধকরি জনগণ আর ঘরের চার দেওয়ালে বন্দী থাকতে চাইছে না ।
শেষ মেশ দীঘার কাছে তাজপুরে একটা ভারী সুন্দর রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থা করলাম ।

Continue reading

রকি পাহারের আনাচে কানাচে (কানাডার রকি মাউন্টেন অঞ্চলের ভ্রমণ গল্প )

প্রথম পর্ব- জ্যাসপার ( Jasper)

লেখা- তীর্থ দাশগুপ্ত , ছবি- ঋতু দাশগুপ্ত

Rocky mountain area of Canada attracts tourists from all over world since first decade of nineteenth century , specially after laying of canadian pacific railway track. I was quite impressed with the beauty of the regions seeing the pictures in the internet. Relatives of my in-laws stay in Toronto-capital city of Canada. On their invitation to visit Canada  I immediately thought why not visit Canadian Rockies in the same trip? Instantly I planned a trip  to Jasper, Lake Louise and Banff of Alberta district of Canada. We experienced some of the extraordinary moments in our tour to Canadian Rockies. This travelogue , written in Bengali , is based on our exquisite tour to the region.

প্রায় তিনঘন্টা হয়ে গেল রিকলাইনিং চেয়ার এ বসে ব্রুস্টার কোম্পানির ( Brewster Express) বাসের বিরাট বড় বড় কাঁচের জানালা দিয়েএকভাবে রকি মাউন্টেন অঞ্চলের পাগল করা সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে চলেছি আমি আর আমার স্ত্রী ঋতু ।

আরামদায়ক বাস এক গতিবেগে ছুটে চলেছে । মাঝে মাঝে পাহাড়ের বাঁকে একটু গতিবেগ কমাতে হচ্ছে । ঝাঁ চকচকে রাস্তা । এক ফোঁটা ঝাকুনি নেই । আমাদের দেশের পাহাড়ী পথে এরকম চিন্তাই করা যায়না । শুনলাম জ্যাসপার পৌঁছতে আরো প্রায় চার ঘণ্টা । 

Continue reading

করবেটের গহীনে পাঁচ রাত-ষষ্ঠ পর্ব

© লেখা- তীর্থ দাশগুপ্ত , ছবি- ঋতু দাশগুপ্ত

This travelogue is based on last part of our 5 nights Corbet Tiger reserve trip. In this part description of enchanting beauty  and views of Lohachaur zone of Corbet tiger reserve on the way back to Jhirna Zone will be described. Here a vivid description of tiger sighting amidst mesmerizing beauty of this deciduous forest at Jhirna zone will be described

আজ আমরা আবার ফিরতি পথে যাবো ঝিরনা বনবাংলোয়ে । সারাদিনের পথ । আবার জঙ্গল পথ ধরে ফেরা । সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট করে হালদুপাড়াও বাংলোর কেয়ারটেকার কে বিদায় জানিয়ে এগিয়ে চললাম বনপথ ধরে । সোনানদী স্যানকচুয়ারী আজ যেন আরো নিঝুম নিস্তব্ধ হয়ে রয়েছে । মন টা খারাপ । দুদিন থাকলাম হালদুপাড়াও তে  কিন্তু বাঘের মুখ দেখা হলনা । এখানকার বাঘ রা এতটাই লাজুক যে আমাদের সামনে দেখা দিতে নিশ্চয়ই যারপরনাই লজ্জা পেয়েছে । ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে জীপে আসীন আমাদের দূর থেকে হয়ত দেখেছে কিন্তু আলাপ করার জন্য সামনে আসেনি । মানুষের আনাগোনা খুবই কম এই অঞ্চলে , তাই পারতপক্ষে মানুষকে এড়িয়েই চলে সোনানদী স্যানকচুয়ারীর বাঘ । বাঘ দেখা হলনা কিন্তু প্রাণ ভরে জঙ্গলের আদিমতা অনুভব করলাম ।

Continue reading

করবেটের গহীনে পাঁচ রাত –পঞ্চম পর্ব

(হালদুপারাও এবং সোনানদী স্যাঙ্কচুয়ারী )

লেখা- © তীর্থ দাশগুপ্ত , ছবি- © ঋতু দাশগুপ্ত

পুরো হালদুপাড়াও তে আমরাই একমাত্র পর্যটক । আর বাকিরা সবাই বনদপ্তরের কর্মী । টানা বারান্দায় বসে চা খেতে খেতে পুরো এলাকার দৃশ্য উপভোগ করছিলাম । সময় যেন পুরো থমকে  আছে । বিকেলের এই সময়টা প্রকৃতি একটু অন্যরকম আসন্ন রাতের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য । পাখীরা ঘরে ফেরায় ব্যস্ত রাঙা আকাশের বুকে ডানা মেলে ।ওদের কলকাকলিতে চারিদিক মুখরিত । আসতে আসতে বাইরের আলো কমে আসছে । মনে হচ্ছে  ধীরে ধীরে  কেউ যেন চাদর দিয়ে প্রকৃতি কে ঢেকে দিচ্ছে ।

Continue reading
« Older posts